লকডাউন ভেঙে নিষেধ অমান‍্য করে বাজারে প্রচুর মানুষ , বাধ‍্য হয়ে বন্ধ করা হল বামুনিয়া বাজার

5th April 2020 বাঁকুড়া
লকডাউন ভেঙে নিষেধ অমান‍্য করে বাজারে প্রচুর মানুষ , বাধ‍্য হয়ে বন্ধ করা হল বামুনিয়া বাজার


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বাঁকুড়া ) : রাজ‍্য জুড়ে চলছে লকডাউন । নির্দেশ রয়েছে রাজ‍্য সরকারের সামাজিক দূরত্ব রাখার । সে সব কার্যত শিকেয় তুলে বাঁকুড়ার দীঘলগ্ৰাম পঞ্চায়েতের বামুনিয়া বাজারে উপচে পড়া ভীড় মানুষের । কাঁচা সব্জীর বাজারে যেমন ভীড় তেমনি ঔষধের দোকান , মুদির দোকান সব জায়গাতেই ঠাসা ভীড় । বাজার কমিটির পক্ষ থেকে লাগাতার প্রচার চলছে মাইকে , এমনকি দোকানের সামনে মার্কিং ও করা হয়েছে । কিন্তু কে শোনে কার কথা ? সোশাল ডিসটেন্স কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রসদ সংগ্ৰহে হুড়োহুড়ি । অবশেষে বাধ‍্য হয়ে পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপে অনির্দিষ্টকালের জন‍্য বন্ধ করে দেওয়া হল বামুনিয়া বাজার । পঞ্চায়েত প্রধান সোনামনি রায় জানিয়েছেন , মানুষকে বারবার বলা সত্ত্বেও মানছেন না । তাই লকডাউন যতদিন চলবে সপ্তাহের দুদিন করে বসা এই হাট এবং বাজার বন্ধ থাকবে । রবিবার ও বুধবার দুদিন হাট বসে এখানে । আজকের যা পরিস্থিতি তারপর আর কোনভাবেই হাট খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান । বাজার কমিটিও সহমত । কারন যেভাবে মানুষ ভীড় করছে তাতে আর বাজার খোলা রাখা উচিত হবে না বলেই তারাও জানিয়েছেন । মানুষ সচেতন না হলে বাজার বন্ধ ই থাকবে । 

ভিডিও লিঙ্ক : 

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=706186206817059&id=219524035483281

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।